মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৬

ধাতু দৌর্বল্য সমস্যার (Spermatorrhoe) স্থায়ী সমাধান !



ধাতু দৌর্বল্য (Spermatorrhoea) কি ? DATU DURBULLU 


 অনৈচ্ছিক বীর্যপাতের নামই হলো ধাতু দুর্বলতা । এ ধরনের সমস্যায় সপ্নাবেশ বা কম উদ্দীপনা ছাড়াই বারবার বীর্যস্থলন হয়। সাধারণভাবে বলতে গেলে ইহা নিজে কোন রোগ নয় বরং অন্যান্য রোগের উপসর্গ। যৌবন কালে অস্বাভাবিক উপায়ে অতিরিক্ত শুক্রক্ষয়, হস্তমৈথুন, ঘনঘন স্বপ্ন দোষ, অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস, কোষ্ঠবদ্ধ, অর্শ, কৃমি রোগের ফলে ধাতু দুর্বলতা ও ধ্বজভঙ্গ হতে পারে।

তবে অতিরিক্তি শুক্র ক্ষয়ই ইহার মূল কারণ। এতে জননেন্দ্রিয় এতই দুর্বল হয়ে পড়ে যে, শুক্রের ধারণ ক্ষমতা কমে যায়। বাহ্যে, প্রস্রাবে বসে কোঁথ দিলে শুক্র বের হয়। স্ত্রী লোকের সাথে আলিঙ্গন, স্পর্শ কিংবা মনেমনে ভাবলে বা মোবাইল ফোনে কোন উত্তেজক কথা বললে বীর্যপাত হয়।
এতে শারীরিক দুর্বলতা প্রকাশ পায়। মাথা ব্যথা, অকাল বার্ধক্য প্রভৃতি রোগের আবির্ভাব হয়।
তবে অমিতাচার, হস্তমৈথুন, স্বপ্ন দোষের কারণে ধাতু দুর্বল রোগ আরোগ্য হতে একটু সময় লাগে। তাই ধৈর্যসহকারে কিছুদিন ঔষধ সেবন করতে হয়।

ইচ্ছা, উত্তেজনা, নাড়াচাড়া ছাড়াই পেশাবের আগে বা পরে পুরুষাঙ্গ হতে বীর্য বের হওয়া, অথবা পেশাবের সাথে বা কঠোর মেহনত, বোঝা উত্তোলন অথবা উত্তেজনা আসার দ্বারা কিংবা মহিলাকে স্পর্শ করার দ্বারা বীর্যপাত হয়। আবার অনেক সময় জোর খাটানোর সময় বীর্যপাত হয়ে যায়। তদ্রুপভাবে ঘুমে গেলে বীর্যপাত হয়। ধাতু বা বীর্য যেহেতু শরীরের রূহ বলা হয়ে থাকে, সেহেতু বীর্যপাত হওয়ার দ্বারা শরীরে অলসতা ও দূর্বলতা দেখা দেয়। এমনকি কোমরে ব্যথাও অনুভব হয়। সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হলো মাথার ব্রেণে দুর্বলতা প্রকাশ পায়। চেহারা শুকিয়ে যায়। শারীরিক দুর্বলতাও ব্যাপকভাবে প্রকাশ পায়। কোনো কাজেই ভালো লাগে না। সব কাজেই বিরক্তি বিরক্তি ভাব দেখা দেয়। সব সময় মনে চায় যদি শুয়ে থাকতে পারতাম। মহিলাদের প্রতি যৌন আকর্ষণ হ্রাস পেতে পেতে এক সময় তাদের প্রতি কোনো চাহিদাই জাগে না। কারো সাথে মেলা-মেশা, কথাবার্তা বলতেও ভালো লাগে না। নীরব ও অন্ধকার লাগে। একাকী ও নির্জনতা পছন্দ হয়। কারো কারো অবস্থা এমন করুণ হয়ে দাড়াঁইয়, যার কারণে আত্মহত্যার জন্যও প্রস্তুতি নেয়। এসব কেবল ধাতু দুর্বলতার কারণে হয়ে থাকে।



ধাতু দুর্বলতা রোগের কারণঃ

ধাতু দুর্বলতার অনেক কারণ আছে। তন্মধ্যে নিম্মোক্ত কারণগুলো বেশিরভাগ লোকদের মাঝে পাওয়া যায়।

১. উত্তেজনার বশিভুত হয়ে হস্তমৈথুন করে বীর্যপাত ঘটানো।

২. সমকামিতার মাধ্যমে বীর্যপাত ঘটানো।

৩. সব সময় পেটের অসুখ লেগে থাকার কারণে।

৪. কতক সময় অধিক গরম ও বিলম্বে হজম হয় এম খাদ্য খাওয়ার  দ্বারা।

৫. ভরপেটে সহবাস করার দ্বারা।

৬. অশ্লীল, যৌন উদ্দীপক ছবি দেখার দ্বারা বীর্যপাত হয়ে থাকে। আর এসব কারণেই বেশিরভাগ ধাতু দুর্বলতা রোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে।




ধাতু দৌর্বল্য (Spermatorrhoea) এর কারণসমূহ :-
 যৌবন কালে অস্বাভাবিক উপায়ে শুক্র ক্ষয় হলে এই সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, হস্তমৈথুন এবং অতিরিক্ত যৌন মিলন করা ইহার প্রধান কারণ। কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শ্বরোগ ইত্যাদির কারণেও ইহা হতে পারে। আবার অনেক সময় সিফিলিস, গনোরিয়া, ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ স্বরূপ এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।

স্বাভাবিক ভাবে হরমোনের অভাবে অথবা কৃত্রিম অতিরিক্ত মৈথন বা অস্বাভাবিক শুক্রপাত করতে থাকলে স্পারম্যাটোরিয়া সৃষ্টি হতে পারে। আবার অনেক সময় অপুষ্টি বা ভিটামিন প্রভৃতির অভাবে অথবা দীর্ঘদিন রক্তশূন্যতা বা নানা প্রকার রোগে ভোগার ফলে ইহা দেখা দিতে পারে। যারা সাধারণত বেশি পরিমান যৌন মিলন করে, অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় করে তাদের শুক্রথলিতে শুক্র বেশি সঞ্চিত থাকে না। ইহার ফলে তাদের শুক্র নির্গত হলে দেখা যায় তাদের শুক্রে ঘনত্ব (viscosity) কম এবং তা দেখতে বেশ তরল। ইহাতে রোগীর ভয়ানক দুর্বলতা সৃষ্টি হয়।


ধাতু দৌর্বল্য (Spermatorrhoea) এর লক্ষণসমূহ :- স্পারম্যাটোরিয়ার লক্ষণযুক্ত রোগীর শুক্র অত্যন্ত তরল হয়। অনেক সময় পাতলা পানির মত। নির্গত শুক্রে ঘনত্ব (viscosity) খুব কম। রোগী ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দেহগত অপুষ্টির ভাব প্রকাশ পেয়ে থাকে। দেহের সৌন্দর্য নষ্ট হয় এবং জীর্ণ শীর্ণ হয়ে পড়ে, মুখ মলিন এবং চক্ষু কোঠরাগত হয়ে পরে। দেহে প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং ভিটামিনের প্রবল অভাব পরিলক্ষিত হয়। রোগীর জীবনীশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং নানা প্রকার রোগে অতি সহজেই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

দেহে যৌন হরমোন বা পিটুইটারি এড্রিনাল প্রভৃতি গ্রন্থির হরমোন কম নিঃসৃত হয়। ইহার ফলে দেহে যৌন ক্ষমতা কমে যায় এবং শুক্র ধীরে ধীরে পাতলা হতে থাকে।শুক্রপাত বেশি হওয়ার দরুন দৈহিক এবং মানসিক দুর্বলতা বৃদ্ধি পায়, মাথা ঘোরে, বুক ধড় ফড় করে, মাথার যন্ত্রণা দেখা যায়। আক্রান্ত ব্যক্তি সর্বদাই অস্থির বোধ করে। বসা থেকে উঠলেই মাথা ঘোরে এবং চোখে অন্ধকার দেখে, ক্ষধাহীনতার ভাব দেখা দেয়। ইহাতে পেনিস বা জননেদ্রীয় এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে, তার শুক্রের ধারণ শক্তি একেবারে কমে যায়। রাত্রে স্বপ্ন দেখে শুক্র ক্ষয় হয়, আবার দিনের বেলায়ও নিদ্রাকালীন স্বপ্ন দেখে শুক্রপাত হয়।


সমস্যা ধীরে ধীরে কঠিন আকার ধারণ করলে সামান্য উত্তেজনায় শুক্রপাত হয়।, স্ত্রীলোক দর্শনে বা স্পর্শে শুক্রপাত ঘটে এমনকি মনের চাঞ্চল্যেও শুক্রপাত হয়। পায়খানার সময় কুন্থন দিলে শুক্রপাত হয়, স্মরণশক্তি কমে যায়, বুদ্ধিবৃত্তি কমে যায়, পুরুষাঙ্গের ক্ষীনতা ও দুর্বলতা দেখা যায়, চোখের চারদিকে কালিমা পড়ে, অকাল বার্ধক্য এবং ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। এই বিশ্রী সমস্যার লক্ষণ মানুষের বিশেষ করে তরুনদের উন্নতির পথে প্রধান একটা অন্তরায় হয়ে দাড়ায়। ঘরে বসে ভিপি / পার্শ্বেল যোগে পেতে চাইলে কল করুন । ০১৮২৩ ৬৯১ ০০৩ আপনার বিস্তারিত জানাইয়া সরাসরি কথা বলুন     ভিপি / পার্শ্বেল যোগে ঔষধ পেতে কল করুন।

২২ বৎসরের অভিজ্ঞ যৌন চিকিৎসক ,গভঃ রেজিষ্টার্ড, প্রথম শ্রেণীর হেকীম (চিকিৎসক),আয়ুর্বেদিক,ইউনানী,হারর্বাল,হোমিওপ্যাথীতে সরকারী সনদপ্রাপ্তঃ  ....ডা: হেকীম রফিকুল ইসলাম তালুকদার,VD RMP;DHMS;DUMS (Chittagong).মোবাইল: ০১৭১৪ ৮৩৯ ৪৫৪ / ০১৮২৩ ৬৯১ ০০৩ প্রযত্নে: বিকল্প ( আয়ুর্বেদিক,ইউনানী, ) চিকিৎসা, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ ।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷