প্রস্রাবের আগে বা পরে সূতার মত - ভাতের মাঢ়ের মত -সাদা চুনের পানির মত তরল শুক্রের মত নির্গত হলে এই রোগ’টা কে শুক্রমেহ বলা হয়।
সাধারণঃ লিঙ্গোলিঙ্গোত্থান বা লিঙ্গ উত্তেজিত না হইয়া যদি বীয্যপাত হয়, তাহা হইলে শুক্রমেহ রোগ হইয়াছে বুঝিতে হইবে।
শুক্রমেহ লক্ষণ :
এই রোগ উৎপন্ন হইলে বিভিন্ন সমস্য দেখা দেয় যথা - বিনা উত্তেজনায় শুক্রক্ষরণ, নিদ্রিতবস্হায় বা দিনের বেলায় মল মুত্র ত্যাগ কালে বিশেষতঃ পায়খানাএকটু কষা হলে কোথ দিয়ে পায়খানা করতে গেলে বেশী দেখা যায়, প্রস্রাবের আগে ও পরে দেখা যায় অথবা অধিকপথ
ভ্রমণ করিলে অথবা উত্তেজনার কারণ উপস্থিত হইলেই পানির মত - সূতার মত - ভাতের মাঢ়ের মত -সাদা চুনের পানির মত
তরল শুক্র নির্গত হয়। এই রোগে নানাবিধ শুক্রবিকৃতির লক্ষণ জন্মে যথা -কাজ কর্মে অনিচ্ছা অলস্য,উদাস্য,পরিপাক শক্তি কমে যাওয়া, অজীর্ণ, ক্ষুধামন্দা, মেধা
-স্বরণশক্তি - ধৈর্য শক্তি- বল কমে যাওয়া- শুকিয়ে যাওয়া । পেটফাঁপা, অম্লরোগ, শিরঃপিড়া, অস্থিরতা, চিত্তচাঞ্চল্য, স্বপ্নদোষ প্রবৃতি উপস্থিতহয়।
রোগী নির্জ্জনে ও নিরবে থাকিতে ভালবাসে,অল্পকারণে ভীত বা বিরক্ত হয়, দ্রুতবেগে হৃৎপিন্ড স্পন্দিত ( পালস রেট বেড়ে যায় ) হয়, অল্প শব্দ শুনিলে চমকাইয়া উঠে।
এই রোগ টা এত সহজে সারানো যায় না, রোগ’টা সারাতে হলে বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ প্রথম শ্রেণীর হেকীম (চিকিৎসক) এর তত্বাবধানে থেকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে পারলে
ইনশা আল্লাহ ১০০ % আরোগ্যলাভ সম্ভব ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷